প্রত্যন্ত অঞ্চলের সু-প্রাচীন বালিঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একমাত্র সরকারী প্রতিষ্টান। ইহা সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার ৪নং শেওলা ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী বাজারে অবস্থিত ছিল। নদী ভাঙ্গনের ফলে বার বার ইহা স্থানান্তরীত হয়। বর্তমানে ইহা একটি টিনশেড ৪ কক্ষ বিশিষ্টি ৪ জন শিক্ষকের পদ বিশিষ্ট একটি আদর্শ বিদ্যালয়।
শিক্ষানুরাগী সমাজসেবী মুরব্বীয়ান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ সহ ও গ্রামবাসী সর্বস্থরের জনগনের সাহায্যে সহযোগীতায় ১৯১০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টিত হয়। শুরুতে বিদ্যালয়টি ৫ শিক্ষক বিশিষ্টি একটি মডেল বিদ্যালয় ছিল। কিন্তু বালিঙ্গা গ্রামটি সর্বগ্রাসী কুশিয়ারার ভাঙ্গনে ২ বার স্থানান্তরিত হয়ে তারপর ও ৫ জন শিক্ষক দ্বারা বিদ্যালয় পরিচালিত হয়েছিল, কিন্তু আশির দশক ও নব্বইয়ের দশকের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষক রদবদল সমন্বয় করার নামে ২ জন শিক্ষকের পদ কেটে দিয়ে আসাম বাংলার যুগের ৩ শিক্ষকের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়। অনেক প্রচেষ্টার পর বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৪ শিক্ষক বিশিষ্ট হয়েছে।
শ্রেণী | ছাত্র | ছাত্রী | মোট |
১ম | ১৪ | ২৮ | ৪২ |
২য় | ১৭ | ১৮ | ৩৫ |
৩য় | ১৪ | ২২ | ৩৬ |
৪র্থ | ১৫ | ২০ | ৩৫ |
৫ম | ১১ | ১৯ | ৩০ |
মোট | ৭১ | ১০৭ | ১৭৮ |
ক্রমিক নং | নাম | পদবী |
০১ | মোঃ গিয়াস উদ্দিন খান | সভাপতি |
০২ | সৈয়দ রফিকুল হক | সহ সভাপতি |
০৩ | মোঃ ছাদ উদ্দিন | সদস্য সচিব |
০৪ | মোঃ নজমুল হক চৌঃ | মেধাবী অভিভাবক সদস্য |
০৫ | মোঃ আং রশিদ চৌঃ | সদস্য |
০৬ | মোঃ মোস্তফা উদ্দিন চৌঃ | মাধ্যমিক শিক্ষক প্রতি. |
০৭ | আফিয়া বেগম | সদস্যা |
০৮ | লুভন বেগম | সদস্যা |
০৯ | আনোয়ারা বেগম | বিদুৎসাহী সদস্যা |
১০ | মইন উদ্দিন চৌধুরী | বিদুৎসাহী সদস্য |
১১ | মামুন রাজা চৌধুরী | ইউ/পি সদস্য |
সাল | ছাত্র | ছাত্রী | মোট | অংশগ্রহন কারীর মোট সংখ্যা | পাশের হার |
২০০৯ | ০৮ | ১৫ | ২৩ | ১৫ | ৬৯.৬% |
২০১০ | ১৩ | ১৫ | ২৮ | ২৭ | ৯৬.৪% |
২০১১ | ১০ | ১৪ | ২৪ | ২১ | ৮৭.৫% |
২০১২ | ০৮ | ১২ | ২০ | ১৬ | ৬২% |
২০১৩ | ১৫ | ১৪ | ২৯ | ২৯ | ১০০% |
২০০৮ ইংরেজী সনে মোছাঃ পারভীন আক্তার, পিতাঃ আব্দুল জলিল, সাধারণ বৃত্তি লাভ করে। ২০০৯ ইংরেজী সনে মোছাঃ রীজা আক্তার, পিতাঃ আব্দুর রহমান চৌঃ, সাধারণ বৃত্তি লাভ করে। ২০১০ সালে ইংরেজী সনে মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিতাঃ আবুল কাসেম সাধারণ বৃত্তি লাভ করে। ২০১১ ইংরেজী সনে মোঃ আং সামাদ চৌধুরী, পিতাঃ মোঃ নজমুল হক চৌঃ A+পেয়েছিল।
বিদ্যালয়টি ৩ শিক্ষক বিশিষ্ট ছিল। বর্তমান শিক্ষা অফিসার মহোদয় জনাব জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ সাহেবের অক্লান্ত চেষ্টায় ডি থেকে এ গ্রেডে উন্নিত হয়। প্রতিষ্টালগ্ন থেকে কোন সরকারী বৃত্তি এই বিদ্যালয় পায়নি। ২০০৬ ইংরেজী সনে সর্বপ্রথম শাহনাজ বেগম সানী, পিতাঃ সাইফুল ইসলাম চৌঃ, সাং বালিঙ্গা, প্রথম সাধারণ বৃত্তি অর্জন করে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করে।
(ক) শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা।
(খ) শতভাগ মেধা তালিকা ভুক্ত করা।
(গ) ভৌত অবকাটামো নির্মান
(ঘ) খেলার মাট তৈরী করা।
কুশিয়ারা নদী খেয়া পারাপারের মাধ্যমে অতিক্রম করে উপজেলা হতে ৭ কি.মি দুরে রিক্সা, অটোরিক্সা যোগে পৌছা যায়। উপজেলা হতে পল্লিবিদ্যুৎ হয়ে প্রায় ১২ কি.মি রাস্তা রিক্সা বা অটোরিক্সা/বাস যোগে যাতায়াত করা যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস